ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

মহম্মদপুরের রাজাপুরে নবগঙ্গায় অবৈধ বালু উত্তোলনঃ হুমকিতে বাজার ও বসতবাড়ি

রনি আহমেদ রাজুঃ

 

মাগুরার মহম্মদপুরের রাজাপুরে নবগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবী, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ফয়সাল মিয়ার ছেলে বিপ্লব বেশ কিছুদিন যাবত রাজাপুর ও নহাটা, (ইউনিয়ন) অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তার নিজেস্ব ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। সরকার কর্তৃক ইজারকৃত বালু মহলের বাইরে উত্তোলনকৃত এসব বালু কোথাও ডাম্পিং করে বিক্রি করা হচ্ছে আবার কোথাও জায়গা ভরাট করা হচ্ছে।

 

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের আনুমানিক ১০০ মিটার দক্ষিণে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

 

বিপ্লব তার নিজেস্ব ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

উল্লেখ্য গত ১২ অক্টোবর রবিবার “অবৈধ বালু উত্তোলন এখন নবগঙ্গা পারবাসীর জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক” এমন শিরনামে এশিয়ান টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণ সহ বিভিন্ন শিরোনামা বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়।

 

ঘটনার মাত্র ৪ দিনের মধ্যে একই ব্যক্তি (বিপ্লব) পূর্বের বালু উত্তোলনের স্থান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার(আনুমানিক) দুরত্বে বনগ্রাম বাজারের পাশে নবগঙ্গা নদীতে পূণরায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করাছে, সরজমিন পরিদর্শন এবং স্থানীয়দে সাথে কথা বলে বিষয় টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

উক্ত স্থান থেকে বালু উত্তোলনের কোন অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বালু উত্তোলন কারী বিপ্লব।
নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বিষয়ে বেলা ৩:৫১, ৩:৫২ এবং ০৪:০৭ মিনিটে ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

 

পরবর্তীতে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম মুঠোফোনে জানান রাজাপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সে বিষয়ে আমি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শ্মশান ঘাট, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ নদীর পাড়ের জনবসতি রক্ষার স্বার্থে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি নদী পাড়ে বসবাসরত গ্রামবাসী এবং সচেতন মহলের।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন চায়ঃ – চাঁদ

error: Content is protected !!

মহম্মদপুরের রাজাপুরে নবগঙ্গায় অবৈধ বালু উত্তোলনঃ হুমকিতে বাজার ও বসতবাড়ি

আপডেট টাইম : ০৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
রনি আহমেদ রাজু, নিজস্ব প্রতিনিধি :

রনি আহমেদ রাজুঃ

 

মাগুরার মহম্মদপুরের রাজাপুরে নবগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবী, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ফয়সাল মিয়ার ছেলে বিপ্লব বেশ কিছুদিন যাবত রাজাপুর ও নহাটা, (ইউনিয়ন) অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তার নিজেস্ব ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। সরকার কর্তৃক ইজারকৃত বালু মহলের বাইরে উত্তোলনকৃত এসব বালু কোথাও ডাম্পিং করে বিক্রি করা হচ্ছে আবার কোথাও জায়গা ভরাট করা হচ্ছে।

 

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের আনুমানিক ১০০ মিটার দক্ষিণে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

 

বিপ্লব তার নিজেস্ব ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

উল্লেখ্য গত ১২ অক্টোবর রবিবার “অবৈধ বালু উত্তোলন এখন নবগঙ্গা পারবাসীর জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক” এমন শিরনামে এশিয়ান টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণ সহ বিভিন্ন শিরোনামা বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়।

 

ঘটনার মাত্র ৪ দিনের মধ্যে একই ব্যক্তি (বিপ্লব) পূর্বের বালু উত্তোলনের স্থান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার(আনুমানিক) দুরত্বে বনগ্রাম বাজারের পাশে নবগঙ্গা নদীতে পূণরায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করাছে, সরজমিন পরিদর্শন এবং স্থানীয়দে সাথে কথা বলে বিষয় টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

উক্ত স্থান থেকে বালু উত্তোলনের কোন অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বালু উত্তোলন কারী বিপ্লব।
নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বিষয়ে বেলা ৩:৫১, ৩:৫২ এবং ০৪:০৭ মিনিটে ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

 

পরবর্তীতে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম মুঠোফোনে জানান রাজাপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সে বিষয়ে আমি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শ্মশান ঘাট, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ নদীর পাড়ের জনবসতি রক্ষার স্বার্থে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি নদী পাড়ে বসবাসরত গ্রামবাসী এবং সচেতন মহলের।


প্রিন্ট