ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

শহীদ আবীর সাধারণ পাঠাগারসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবেঃ – অধ্যক্ষ মতিউর রহমান

মুরাদ হোসেনঃ

 

১৬ অক্টোবর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন’র শাহাদাৎ বার্ষিকী। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাগুরার মহম্মদপুরবাসীর জন্য গভীর শোক ও গৌরবময় দিন।

 

দেশমাতৃকার প্রেমে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এক টগবগে তরুণ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের জয়রামপুরে সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন। শহীদের স্মৃতি স্মরণে জয়রামপুর যুদ্ধ ক্ষেত্রে জয়রামপুর সপ্তগ্রাম সম্মিলনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে তৈরি করা হয়েছে “মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ”।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি স্বরুপ ১৯৮৮ সালে উপজেলা সদরে শহীদ আবীর সাধারণ পাঠাগার নামে একটি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। যা এখন সময়ের বর্ষ পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে গেছে বীর প্রতিক গোলাম এয়াকুব আলী মার্কেট। নাম পলক নেই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ-মহম্মদ সড়কের। এসব স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করতে হবে। কতৃপক্ষের কাছে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জোর দাবী।

 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকায় মহম্মদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন’র শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব দাবী জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ (অব.) মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

 

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদমান আকিব। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব, প্রেসক্লাব মহম্মদপুরের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন’র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তিলাম হোসেন প্রমূখ।

 

আলোচনা সভা শেষে সকল শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে তোবারক বিতরণ করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন চায়ঃ – চাঁদ

error: Content is protected !!

শহীদ আবীর সাধারণ পাঠাগারসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবেঃ – অধ্যক্ষ মতিউর রহমান

আপডেট টাইম : ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি :

মুরাদ হোসেনঃ

 

১৬ অক্টোবর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন’র শাহাদাৎ বার্ষিকী। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাগুরার মহম্মদপুরবাসীর জন্য গভীর শোক ও গৌরবময় দিন।

 

দেশমাতৃকার প্রেমে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এক টগবগে তরুণ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের জয়রামপুরে সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন। শহীদের স্মৃতি স্মরণে জয়রামপুর যুদ্ধ ক্ষেত্রে জয়রামপুর সপ্তগ্রাম সম্মিলনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে তৈরি করা হয়েছে “মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ”।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি স্বরুপ ১৯৮৮ সালে উপজেলা সদরে শহীদ আবীর সাধারণ পাঠাগার নামে একটি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। যা এখন সময়ের বর্ষ পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে গেছে বীর প্রতিক গোলাম এয়াকুব আলী মার্কেট। নাম পলক নেই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ-মহম্মদ সড়কের। এসব স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করতে হবে। কতৃপক্ষের কাছে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জোর দাবী।

 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকায় মহম্মদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন’র শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব দাবী জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ (অব.) মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

 

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদমান আকিব। এ সময় বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব, প্রেসক্লাব মহম্মদপুরের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন’র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তিলাম হোসেন প্রমূখ।

 

আলোচনা সভা শেষে সকল শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে তোবারক বিতরণ করা হয়েছে।


প্রিন্ট