আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার (০৭-১০-২০২৫) হিরা খাতুন (২০) নামে এক নববধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ির শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। নববধু কুষ্টিয়ার সদর থানার বটতলী ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ জানান, শয়ন কক্ষে থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লিখা ছিল- “ভালো থাইকেন আমাকে আর হয়তো পাবেন না! আমি চায় ছিলাম আমার সখের পুরুশের সাথে থাকতে কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। আপনাদের কাছে আমার সেষ ইচ্ছা আমি মারা যাওয়ার পর আমার করর টা সুমনের বারির সামনে হবে। আমি যেই গ্যালারি ব্যবহার করি মায়ের ফোনে ওই গ্যালারির নিরাপত্তা ফোল্ডারে আমার অনেক সখের ছবি আছে ওই ছবি গুলা যত্ন করে রেখে দিবেন Pass (৭২১৬) আমার সয়ার ঘরটা আমার আরাফাত ভাইয়ার কাছে দিয়ে দিয়েন। ইতি(হিরা)”।
ধারনা করা হচ্ছে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া কারণে আত্নহত্যার আগে হিরা খাতুন চিরকুট লিখে গেছে। তবে চিরকুটে লিখাটি হিরা খাতুনের কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, গত মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের শান্ত শেখের ছেলে রতন আলী শেখ (২৫)’র সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই দিন পর নববধু তার বাবার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, আর শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাবেন না। পরে পরিবার তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর বাড়িতে পাঠান। যোগাযোগ করতে না পেরে মেয়ের বাবার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আত্নহত্যার দাবি স্বামীর পরিবারের ।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে চিরকুটে লিখাটি নববধুর কি-না, সেটি তার হাতে লিখার সাথে মিলিয়ে দেখলে বাস্তব প্রমান পাওয়া যাবে। ওসি জানান,মেয়ের বাবার বাড়ি আরেক জেলাতে হওয়ায় তাৎক্ষনিক হাতের লিখা মিলিয়ে সনাক্ত করতে পারেননি। এ বিষয়ে ইউডি মামলা দাযের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
প্রিন্ট

বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা 
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 





















