ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

বেনাপোল কাস্টমসের এনজিও কর্মী হাসিব ঘুষের টাকা সহ দুদকে আটক

সাজেদুর রহমানঃ

 

যশোর দুদকের একটি সমন্বিত দল আজ বেনাপোল কাষ্টমসে অভিযান চালিয়ে কাস্টম হাউজের শুল্কায়ন গ্রুপ ৬ এর রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার, এনজিও কর্মি হাসিবুর রহমান ও বিক্যাশ ব্যবসায়ী সুরুজ কে নগদ টাকাসহ আটক করেছে। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা কমিশনারের রুমে রুদ্র তার বৈঠক শেষে কাস্টমসের এনজিও হাসিবকে আটক করেন এবং কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কে তদন্তের আওতায় রেখে আটক করেন না।

 

দুদক সূত্রে জানা গেছে, কাস্টম হাউজের বাইরের একটি বিকাশের দোকানে ৬ নম্বর গ্রুপে রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারের পক্ষে এনজিও কর্মী হাসিব একটি বিকাশের দোকানে টাকা লেনদেন করছে এমন খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে হাসিব ও বিকাশের দোকানদার কে আটক করে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাস্টমস হাউজে নিয়ে আসে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দুদক কর্মকর্তারা টাকার ব্যাপারে শামিমাকে কাস্টম কমিশনারের রুমে জিজ্ঞাসা বাদ করছেন।

 

এসময় কাস্টমসের রুদ্ধদ্বার কক্ষে কোন সংবাদিক কে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, শুল্কায়ন গ্রুপ ৬ এর রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন সকলের ফাইল আটকিয়ে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের এ ঘুষের টাকা আদায় করত হাসিবুল ওরফে হাসিফ।

 

কাস্টম কমিশনারের রুমে দীর্ঘ সময় রুদ্রতার বৈঠক শেষে দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন কাস্টম হাউজের গেটের সামনে থেকে হাসিবুর রহমানকে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা সহ আটক করা হয়। এই টাকা সে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসছিলেন। এই ঘটনায় হাসিবুরকে আটক করা হয়েছে। শামীমা আক্তারকে আটক করা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।

 

কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমাকে আটক না করায় সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা দুদকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা দুদকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শামীমা কে কেন আটক করা হলো না জানতে চাইলে দুদক জনতার উদ্দেশ্যে বিরূপ মন্তব্য করেন। পরে সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা দুদকের গাড়ি অবরুদ্ধ করলে দুদক ২ সাংবাদিককে গাড়ির ভেতর থেকে লাথি মারেন।

 

ঘটনাটি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা কাস্টম হাউজের ভিতর দুদকের গাড়ির সামনে রাস্তায় বসে অবরুদ্ধ করেন। সাংবাদিকদের দীর্ঘ সময় সড়ক অবরুদ্ধের পর বেনাপোল পর থানা পুলিশ কাস্টম হাউস অভ্যন্তরে এসলে দুদক সাংবাদিকদের কাছে ভুল স্বীকার করেন। পরে সাংবাদিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলে দুদক কাস্টম হাউস থেকে বাহির হন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন চায়ঃ – চাঁদ

error: Content is protected !!

বেনাপোল কাস্টমসের এনজিও কর্মী হাসিব ঘুষের টাকা সহ দুদকে আটক

আপডেট টাইম : ১০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
সাজেদুর রহমান, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি :

সাজেদুর রহমানঃ

 

যশোর দুদকের একটি সমন্বিত দল আজ বেনাপোল কাষ্টমসে অভিযান চালিয়ে কাস্টম হাউজের শুল্কায়ন গ্রুপ ৬ এর রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তার, এনজিও কর্মি হাসিবুর রহমান ও বিক্যাশ ব্যবসায়ী সুরুজ কে নগদ টাকাসহ আটক করেছে। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা কমিশনারের রুমে রুদ্র তার বৈঠক শেষে কাস্টমসের এনজিও হাসিবকে আটক করেন এবং কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কে তদন্তের আওতায় রেখে আটক করেন না।

 

দুদক সূত্রে জানা গেছে, কাস্টম হাউজের বাইরের একটি বিকাশের দোকানে ৬ নম্বর গ্রুপে রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারের পক্ষে এনজিও কর্মী হাসিব একটি বিকাশের দোকানে টাকা লেনদেন করছে এমন খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে হাসিব ও বিকাশের দোকানদার কে আটক করে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাস্টমস হাউজে নিয়ে আসে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দুদক কর্মকর্তারা টাকার ব্যাপারে শামিমাকে কাস্টম কমিশনারের রুমে জিজ্ঞাসা বাদ করছেন।

 

এসময় কাস্টমসের রুদ্ধদ্বার কক্ষে কোন সংবাদিক কে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, শুল্কায়ন গ্রুপ ৬ এর রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন সকলের ফাইল আটকিয়ে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের এ ঘুষের টাকা আদায় করত হাসিবুল ওরফে হাসিফ।

 

কাস্টম কমিশনারের রুমে দীর্ঘ সময় রুদ্রতার বৈঠক শেষে দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন কাস্টম হাউজের গেটের সামনে থেকে হাসিবুর রহমানকে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা সহ আটক করা হয়। এই টাকা সে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসছিলেন। এই ঘটনায় হাসিবুরকে আটক করা হয়েছে। শামীমা আক্তারকে আটক করা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।

 

কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমাকে আটক না করায় সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা দুদকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা দুদকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শামীমা কে কেন আটক করা হলো না জানতে চাইলে দুদক জনতার উদ্দেশ্যে বিরূপ মন্তব্য করেন। পরে সাংবাদিক ও স্থানীয় জনতা দুদকের গাড়ি অবরুদ্ধ করলে দুদক ২ সাংবাদিককে গাড়ির ভেতর থেকে লাথি মারেন।

 

ঘটনাটি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা কাস্টম হাউজের ভিতর দুদকের গাড়ির সামনে রাস্তায় বসে অবরুদ্ধ করেন। সাংবাদিকদের দীর্ঘ সময় সড়ক অবরুদ্ধের পর বেনাপোল পর থানা পুলিশ কাস্টম হাউস অভ্যন্তরে এসলে দুদক সাংবাদিকদের কাছে ভুল স্বীকার করেন। পরে সাংবাদিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলে দুদক কাস্টম হাউস থেকে বাহির হন।


প্রিন্ট