ঢাকা , সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় Logo বাঘায় মুক্তিযোদ্ধার সাথে সংসদ সদস্য প্রার্থী চাঁদের মতবিনিময় Logo শিবগঞ্জে চোখ উপড়ে পাহারাদারকে হত্যা Logo মধুখালীতে সাংবাদিক সাগর চক্রবর্তীর মোটরসাইকেল চুরি Logo বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা  Logo বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য পালশা ডে নাইট শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo তানোর বিএনপির রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চায় তৃণমুল Logo কালুখালীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত Logo তানোরে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু Logo হিলিতে বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত-১আহত হয়েছে ৬ জন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

কুষ্টিয়া শহরের মাঝ খানে একখণ্ড নেপালি পাড়া

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকায় একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে ২০টি নেপালি পরিবার। বাংলাকে আপন করে নিয়ে বংশপরম্পরায় বাস করলেও ধরে রেখেছেন পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি। নেপালি পরিবারগুলোর কারণে এলাকাটি সবার কাছে নেপালি পাড়া নামেই পরিচিত।

 

কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মোহিনী মিল। ১৯০৮ সালে মিলে কাজ করতে আসেন নেপালের ৫০টি পরিবার। বিভিন্ন কারণে একসময় মিলটি বন্ধ হয়ে গেলেও বাংলাদেশেই থেকে যান ২০টি পরিবার। আর এলাকাও পরিচিতি পায় নেপালি পাড়া নামে।

 

কয়েক প্রজন্ম ধরে এ দেশে বাস করা নেপালিরা বাংলাতেই কথা বলেন। তবে, একই সাথে ধরে রেখেছেন নেপালি সংস্কৃতি। নেপালের আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গেও আছে যাওয়া-আসা।

 

সমাজপ্রধান রাজ বল্লভ যোশী বলেন, আমরা নেপালি হলেও বাংলা ভাষায় কথা বলি। আর যদি আমাদের আত্মীয়স্বজন আসে, তাদের সঙ্গে আমাদের মাতৃভাষাতেই কথা বলি। এখানে আমরা আজ বহু বছর ধরেই আছি।

 

নেপালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক এই পরিবারগুলোর কারণে স্থানীয়দের কাছেও এই এলাকার ভিন্ন আকর্ষণ আছে। এ যেন কুষ্টিয়ার মাঝেই একখণ্ড নেপাল।

 

একজন নেপালি বলেন, আমরা এখন স্থানীয় হয়ে গিয়েছি। এ জায়গা ছাড়া আর কোথাও ভালো লাগে না। নিজের দেশে গেলেও ভালো লাগবে না। নেপালে ফিরে যাওয়ার জন্য আত্মীয়স্বজনরা বলে, কিন্তু আমরা তো এই পরিবেশেই বড় হয়েছি, ওখানে গিয়ে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।

 

স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, এরকম নেপালি আরও যারা আশেপাশে আছে, ঠিক আমরা যেভাবে চলি, ওনারাও একইভাবে চলেন। আপন পর বলে ভেদাভেদ নাই।

 

দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়ায় বসবাস করায় এই নেপালি পরিবারের সন্তানেরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে কাজ করছেন নানা প্রতিষ্ঠানে। আদি পরিচয় নেপালি হলেও বাংলাদেশই এখন তাদের দেশ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় পাশাপাশি খোঁড়া হয় তিনটি কবর, দাফনসম্পন্ন

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া শহরের মাঝ খানে একখণ্ড নেপালি পাড়া

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকায় একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছে ২০টি নেপালি পরিবার। বাংলাকে আপন করে নিয়ে বংশপরম্পরায় বাস করলেও ধরে রেখেছেন পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি। নেপালি পরিবারগুলোর কারণে এলাকাটি সবার কাছে নেপালি পাড়া নামেই পরিচিত।

 

কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মোহিনী মিল। ১৯০৮ সালে মিলে কাজ করতে আসেন নেপালের ৫০টি পরিবার। বিভিন্ন কারণে একসময় মিলটি বন্ধ হয়ে গেলেও বাংলাদেশেই থেকে যান ২০টি পরিবার। আর এলাকাও পরিচিতি পায় নেপালি পাড়া নামে।

 

কয়েক প্রজন্ম ধরে এ দেশে বাস করা নেপালিরা বাংলাতেই কথা বলেন। তবে, একই সাথে ধরে রেখেছেন নেপালি সংস্কৃতি। নেপালের আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গেও আছে যাওয়া-আসা।

 

সমাজপ্রধান রাজ বল্লভ যোশী বলেন, আমরা নেপালি হলেও বাংলা ভাষায় কথা বলি। আর যদি আমাদের আত্মীয়স্বজন আসে, তাদের সঙ্গে আমাদের মাতৃভাষাতেই কথা বলি। এখানে আমরা আজ বহু বছর ধরেই আছি।

 

নেপালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক এই পরিবারগুলোর কারণে স্থানীয়দের কাছেও এই এলাকার ভিন্ন আকর্ষণ আছে। এ যেন কুষ্টিয়ার মাঝেই একখণ্ড নেপাল।

 

একজন নেপালি বলেন, আমরা এখন স্থানীয় হয়ে গিয়েছি। এ জায়গা ছাড়া আর কোথাও ভালো লাগে না। নিজের দেশে গেলেও ভালো লাগবে না। নেপালে ফিরে যাওয়ার জন্য আত্মীয়স্বজনরা বলে, কিন্তু আমরা তো এই পরিবেশেই বড় হয়েছি, ওখানে গিয়ে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।

 

স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, এরকম নেপালি আরও যারা আশেপাশে আছে, ঠিক আমরা যেভাবে চলি, ওনারাও একইভাবে চলেন। আপন পর বলে ভেদাভেদ নাই।

 

দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়ায় বসবাস করায় এই নেপালি পরিবারের সন্তানেরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে কাজ করছেন নানা প্রতিষ্ঠানে। আদি পরিচয় নেপালি হলেও বাংলাদেশই এখন তাদের দেশ।


প্রিন্ট